About us


সংগঠন সম্পর্কেঃ

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য (SSSPJ) হচ্ছে মূলত বিলাতের বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সম্মিলিত রূপ। বিলাতের বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ঐক্য ও সেতুবন্ধন রচনা করে এই বহুজাতিক সমাজে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারকে আরো বেগবান করতে ২০০৯ সালে এই সংগঠনের জন্ম। এটি গঠনের পর-পরই ২০১০ সালের ১১, ১২ ও ১৩ জুলাই পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে আয়োজন করা হয় ‘বাংলা একাডেমি বইমেলা ও সাংসকৃতিক উৎসব’। 

‘সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে এবং লন্ডনসহ পুরো বিলাতের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিককর্মিদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে আসেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুজ্জামান খান। উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক-সাংবাদিক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী। মেলায় বাংলা একাডেমির পাশাপাশি অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করে খ্যাতিমান প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে প্রতি বছর লন্ডনে ‘বাংলা একাডেমি বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

২০১১ সালে ‘বাংলা একাডেমি বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব’কে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমির একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল, ‘বাংলা একাডেমির প্রবাসী লেখক পুরস্কার’-এর প্রবর্তন। তখন থেকে প্রতি বছর বাংলা একাডেমি এই পুরস্কার প্রদান করে আসছে। বিলাতবাসী লেখকদের মধ্যে এই পুরস্কারটি পেয়েছেন- কাদের মাহমুদ, ডা: মাসুদ আহমদ, সালেহা চৌধুরী, ইসহাক কাজল, ফারুক আহমদ। ২০১৫ সালে পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ পুরস্কার । তখন থেকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয় মঞ্জু ইসলাম, শামীম আজাদ, সাগুফতা শারমীন তানিয়া ও মুজিব ইরম ।

২০১৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বহির্বিশ্বে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে তোলে ধরতে ‘বাংলা একাডেমি বইমেলা’র নামকরণ করা হয়, ‘বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংসাস্কৃতিক উৎসব’। 

এভাবে প্রতি বছর এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। গত ২০১৭ সালে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৯টি প্রকাশনী বাংলাদেশ থেকে এস যোগ দিয়েছিল। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও শিল্পী সাহিত্যিকেরা এসেছিলেন। সে বছর বিশিষ্ট সাংবাদিক, সমাজকর্মী, সংগঠক ও রাজনীতিবিদ তাসাদ্দুক আহমদের নামে ‘তাসাদ্দুক আহমদ পুরস্কার’, এবং স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট লেখক-সাংবাদিক,স্বাধীনতাযুদ্ধে বিলাতবাসীদের ভূমিকা নিয়ে লিখিত প্রথম গ্রন্থসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রন্থের লেখক আব্দুল মতিনের নামে ‘আব্দুল মতিন সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ থেকে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন কবি আসাদ মান্নান।


এরপর,২০১৯ সালের ৮ এবং ৯ সেপ্টেম্বর পূর্ব লন্ডনের ব্রাডিআর্ট অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে ‘বাংলাদেশ বইমেলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ পুস্তকপ্রকাশনা ওবিক্রেতা সমিতি, ঢাকা; বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন এবং বিলাতের সকল লেখক-পাঠক-সাংবাদিক-কবি- সাহিতি ̈ক ও সংস্কৃতিকর্মী তথা কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় আয়োজিত মেলায় সে বছরও বাংলাদেশ থেকে ১৭টি প্রকাশনা সংস্থাএবং বিলাতভিত্তিক পাঁচটি, বইমেলায় অংশগ্রহণ করে। মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজীাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন-যুক্তরাজ্য ̄’ বাংলাদেশের মান্যবর হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, টাওয়ার হেমমলেট্স কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র মি. জন বিগস, মহান একুশের অমর গানের রচয়িতা বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ভীষ্মদেব চৌধুরী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ড. শাহাদুজ্জামান; ড. শেখ মুসলিমা মুন, ডেপুটি সেক্রেটারি, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সহ অনেকেই।